হেলথ ডেস্ক, ১৪ এপ্রিল ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): মরণঘাতি করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আজ ১৪ই এপ্রিল দুপুরে নীলফামারী জেলাকে লকডাউনের আওতায় নেয়া হয়েছে। দুপুরে জেলা প্রশাসক মো.হাফিজুর রহমান চৌধুরী এ লকডাউনের আদেশ জারি করেন। নীলফামারী সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র নারায়গঞ্জ থেকে ফিরে শহরের একটি ছাতা্রবাসে অবস্থান করে নিজবাড়ী জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামে গিয়ে অসুস্থ হয়ে ডোমার হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওখান থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পজেটিভ রেজাল্ট আসায় এ লকডাউনের সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। তবে এর আগে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসক ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে ফিরে কর্মস্থলে এসে করোনার উপসর্গ ধরা পরে। এছাড়া ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের এক যুবক ঢাকা-গাজীপুর থেকে ফিরে এবং সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের এক যুবক নরায়নগঞ্জ থেকে ফিরে করোনায় আক্রান্ত হয়।
সিভিল সার্জন দপ্তর জানায়, আক্রান্ত চিকিৎসককে ঢাকাস্থ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে এবং নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ২জন ও সৈয়দপুর হাসপাতালে ১জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ভাল বলে জানা গেছে।
একই সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত গোটা জেলা থেকে ১৪২ জনের করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হলেও এখন পর্যন্ত পাওয়া শতাধিক রিপোর্টে ওই ৪ জনের পজেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। এদিকে লকডাউন ঘোষণা দিয়েই শুধু নয় সংশ্লিষ্টদের আরো তৎপরতা বাড়াতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন। এমনিতেই সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছেনা জেলার হাট-বাজারগুলিতে। নীলফামারী জেলার সবচেয়ে বড় বাজার শাখা মাছা বাজারে করোনা ভিতি নেই বললেই চলে। একই অবস্থা বিরাজ করেছে জেলার প্রায় প্রতিটি হাটবাজারেই। শুধু মাত্র প্রধান সড়কের দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলিকে নিয়ন্ত্রনে আনা গেলেও শহরতলী ও গ্রামের সব কিছুই রয়েছে আগের মতোই। অপর দিকে ত্রাণ বিতরণ নিয়েও উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের পক্ষ থেকে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষের মাঝে চাল-ডাল-আলুসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিরতন করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান, সংসদ সদস্যে এপিএস তরিকুল ইসলাম। অপরদিকে নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জযনাল আবেদীনের নেতৃত্বে ত্রান তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় স্থানীয় ভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও সরকারি ভাবে বিতরণকৃত ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করছেন অনেকেই। প্রকৃত ব্যাক্তিদের বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা তাদের নিজস্ব লোকজনদের ত্রাণ দিচ্ছেন বলে জেলা জুরে ব্যাপক অভিযোগ ডালপালা মেলেছে। কোথাও কোথাও তালিকা প্রকাশের দাবি তুলেছেন স্থানীয় লোকজন।
Leave a Reply